সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী-তালতলী-ফকিরহাট সড়কের আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা। দুই বিভাগের রশি টানাটানিতে সংস্কার হচ্ছে না ব্রিজটি। দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করা না হলে দুই উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের সড়কপথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটিতে যান চলাচল যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলা সদর থেকে তালতলী উপজেলা সদরে সড়কপথে যাতায়াতের জন্য সড়কটির আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর ওপর ১৯৮৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ একটি স্টিলের বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করেন। ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন আমতলী ও তালতলী উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। এই বেইলি ব্রিজটি পার হয়ে ঢাকা-বরিশাল-আমতলী-তালতলী রুটে পরিবহন বাস, তালতলী জয়ালভাঙ্গায় নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল বহনকারী ভারী ট্রাক, প্রাইভেট কার, মাহেন্দ্রা, ট্রলি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ সহস্রাধিক গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করে।
দীর্ঘদিন বেইলি ব্রিজটি সংস্কার না করায় অধিকসংখ্যক গাড়ি চলাচল করায় দিন দিন ব্রিজটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ব্রিজের পাটাতন আলগা হয়ে সরে গেছে। যানবাহনগুলো বেইলি ব্রিজে ওঠার সাথে সাথে ঠকঠক শব্দ করে নড়ে। ব্রিজের মাঝখানের পাটাতন দেবে গেছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনগুলো ব্রিজটি পার হচ্ছে। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ ও বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের রশি টানাটানিতে বেইলি ব্রীজটি সংস্কার করা হচ্ছে না। আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিভাগের দাবি আমতলী- তালতলী-ফকিরহাট সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এলজিইডির কাছ থেকে নিয়ে গেছে। তাই ওই ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব এখন তাদের।
অপরদিকে বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ দাবি করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ এলজিইডির কাছ থেকে ওই সড়কটি আনার প্রক্রিয়া চলছে। এখনো পর্যন্ত সড়কটি আনা হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত আনা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সড়কটির সকল কিছুর দেখভাল এলজিইডি করবেন। তাই ওই ব্রিজটি তারাই সংস্কার করবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই সড়কটি আমাদের কাছ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিয়ে গেছে। ওই সড়কের আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজটি তারাই সংস্কার করবেন।
বরগুনার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, আমতলী-তালতলী-ফকিরহাট সড়কটি স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) কাছ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে আনার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এখনো ওই সড়কটি এলজিইডির অধীনেই। তাই আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রুজটি তারাই সংস্কার করবেন।
Leave a Reply